ফেসবুক পেজ

ফেসবুক পেজ:

হাই বন্ধুরা আমি পলাশ মাহমুদ আজকের টিটোরিয়াল এ আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আজকে আমি আলোচনা করবো ফেসবুক পেজ নিয়ে।

এটি অতি সহজ একটি বিষয় যদি আপনি এর সকল ফিচার বুঝে সঠিক ভাবে করতে পারেন ।

ঠিক একইভাবে আপনার অনলাইন ফেসবুক পেজ টিতে এসে যদি কেউ বিরক্তবোধ করে তাহলে সে আপনার ফেসবুক পেজ টিতে বেশী সময় থাকবে নাহ আর কেনাকাটা তো দূরের কথা তাই বুঝতেই পারছেন সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ফেসবুক পেজ এর গুরুত্ত। আপনার সামান্যকিছু ভূল বা অসাবধানতা ই আপনার কিছু সম্ভাব্য কাস্টমারকে দূরে ঠেলে দিতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে

সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচনঃ

ক্যাটাগরি

নতুন একটি ফেসবুকে পেজ খোলার সময় আপনাকে প্রথমেই যেই বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে তা হলো পেজ এর সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন।

এখানে আপনি উপরোক্ত ছবির ন্যায় ৬টি অপশন পাবেন আর এর থেকেই আপনার ফেসবুক পেজ ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে।

প্রতিটি ক্যাটাগরি আলাদা আলাদা সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে যার কারনে আপনাকে উপযুক্ত ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে।

ক্যাটাগরি নির্বাচন

আপনার ফেসবুকে পেজ এর জন্য কোন ক্যাটাগরি নির্বাচন করবেন?

  1. Local Business or Place: আপনার যদি কোনো ফিজিক্যাল অবস্থান বা ঠিকানা থেকে থাকে তাহলে এই অপশনটি আপনার জন্য। এধরনের ফেসবুক পেজে আপনার ক্রেতারা রিভিউ এবং চেক ইন দিতে পারবে। যদি আপনার একাধিক লোকাল ব্যবসায় থেকে থাকে তাহলে আপনি একাধিক Local Business or Place এর ক্যাটাগরি নির্বাচন করে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারবেন।
  2.  যে সকল ব্যবসায় এর কোনো ফিজিক্যাল অবস্থান বা ঠিকানা থাকে না  তাদের জন্য উপযুক্ত ক্যাটাগরি হলো Company, Organization or Institution।
  3. আপনি কি ফিজিক্যাল অবস্থান সহ আরো অন্যান্য মাধ্যমে কোনো প্রডাক্ট / সেবা দিয়ে থাকেন? যারা কোর প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করে থাকেন তাদের জন্য এধরণের ক্যাটাগরি। যেমনঃ Apple iPhone, Playstation 4 or Mailchimp
  4. Artist, Band or Public Figure: ইন্ডিভিজুয়্যাল দের জন্য উপযুক্ত। যদি আপনি মনে করে থাকেন যে আপনার পার্সোনাল পেজ এর সাহায্যে আপনার সার্ভিস প্রদান বা প্রডাক্ট সেল করে থাকবেন তাহলে এ ক্যাটাগরি টি সিলেক্ট করুন।
  5. Entertainment: যদি আপনি স্পোর্টস, নিউজপেপার ,ম্যাগাজিন ,বই বিক্রি, মুভি অথবা ইন্টারটেইনমেন্ট এর সাথে জড়িত কিছু করতে চান .. তা নির্বাচন করুন।
  6. Cause or Community: যদি কোনো কারণে আপনার মনে হয়ে থাকে উপরোক্ত ৫ টি ক্যাটাগরি এর সাথে আপনার ব্যবসার মিল পাচ্ছেন নাহ তাহলে এই ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন। এছাড়াও এর জন্য উপযুক্ত হলো; কোনো ইস্যু বা কমিউনিটি।

প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যঃ

local-business-or-place-setup

প্রথমবার যখন আপনি একটি নতুন ফেসবুক পেজ তৈরি করবেন তখন আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে।

যেমন আপনি  যদি প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরি হিসেবে Local Business or Place নির্বাচন করে থাকেন তাহলে এখানে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে একটি বর্ণনা, একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক, আপনার ফেসবুক পেজের জন্য কাস্টমাইজড পেজ লিঙ্ক (ফেসবুকের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনার পেজের কাস্টমাইজড পেজ লিঙ্ক পেতে হলে অন্তত পক্ষে ৩০ টি লাইক পেতে হবে)। এসকল তথ্য জমা দেওয়ার পর আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি প্রোফাইল পিক এবং কভার ফটো হিসেবে দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার কোম্পানীর লোগো কে প্রোফাইল পিক এবং চলমান যে কোনো অফার কে কভার ফটো হিসেবে দিতে পারেন। তবে আপনি

facebook-page-local-business

এর পরের অপশনে আপনি এই পেজ টিকে অ্যাড টু ফেভারিট করে নিতে পারেন, এর ফলে আপনার পেজের সকল নোটিফিকেশন

(লাইক, মেসেজ, কমেন্ট, ট্যাগ ইত্যাদি) আপনার ফেসবুক হোম পেজের বাম পাশে দেখতে পাবেন।

তার পরেই আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোন এলাকা / দেশ এর লোকদের কে আপনার পেজ এর সাথে সম্পৃক্ত করতে চান, সাথে আছে

তাদের বয়সসীমা এবং লিঙ্গ (পুরুষ / স্ত্রী / উভয়) নির্বাচনের সুযোগ।

নির্দিস্ট অডিয়েন্স চাইলে তাদের ইন্টারেস্ট ও সিলেক্ট করে দিতে পারেন ।

পেজ সেটিংসঃ

প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য আপডেটের পর  তা আপনাকে আপনার পেজে নিয়ে যাবে এবং এখানে সেটিংস এর কাজ করতে হবে।

অ্যাডমিনঃপেজের সমস্ত কাজ পরিচালনা করতে পারবেন। যেমন; পেজের নামে পোস্ট প্রকাশ করতে, মেসেজ পাঠাতে, কারও কমেন্ট এ পেজের নামে মন্তব্য করতে এবং মুছে দিতে যদি তা স্প্যামিং হয়ে থাকে, বিজ্ঞাপন দেওয়া, তার পরবর্তীতে অন্য কেউ পোস্ট বা কমেন্ট করে থাওলে তার নাম দেখতে পাওয়া, ইনসাইট দেখা, ইন্সটাগ্রামের কমেন্ট দেখা, উত্তর দেওয়া এবং মুছে ফেলা যদি তা স্প্যামিং হয়ে থাকে, ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পরিচালনা এবং পেজে নতুন লোক যোগ করতে পারবেন।

মডারেটরঃ মেসেজের উত্তর দিতে পারবে এবং পেজের হয়ে পোস্ট করতে পারবে, কারও কমেন্ট এ পেজের নামে মন্তব্য করতে এবং

তার পরবর্তীতে অন্য কেউ পোস্ট বা কমেন্ট করে থাওলে তার নাম দেখতে পাওয়া, ইনসাইট দেখা, ইন্সটাগ্রামের কমেন্ট দেখা, উত্তর দেওয়া।

এডিটরঃ মেসেজের উত্তর দিতে পারবে এবং পেজের হয়ে পোস্ট করতে পারবে, কারও কমেন্ট এ পেজের নামে মন্তব্য করতে এবং মুছে দিতে যদি তা স্প্যামিং হয়ে থাকে, বিজ্ঞাপন দেওয়া, তার পরবর্তীতে অন্য কেউ পোস্ট বা কমেন্ট করে থাওলে তার নাম দেখতে পাওয়া, ইনসাইট দেখা, ইন্সটাগ্রামের কমেন্ট দেখা, উত্তর দেওয়া এবং মুছে ফেলা যদি তা স্প্যামিং হয়ে থাকে, ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পরিচালনা।

অ্যাডভারটাইজারঃ বিজ্ঞাপন দেওয়া, তার পরবর্তীতে অন্য কেউ পোস্ট বা কমেন্ট করে থাওলে তার নাম দেখতে পাওয়া এবং ইনসাইট দেখতে পাওয়া।

অ্যানালিস্টঃ তার পরবর্তীতে অন্য কেউ পোস্ট বা কমেন্ট করে থাওলে তার নাম দেখতে পাওয়া এবং ইনসাইট দেখতে পাওয়া।

লাইভ কন্ট্রিবিউটরঃ শুধুমাত্র যে কোন স্মার্ট ফোন থেকে পেজের লাইভে এ এসে কথা বলা এবং ভিডিও প্রদর্শন করতে পারবে।

যদি আপনি পেজ তৈরি এর সময় পেজ এর অডিয়েন্স এর সিলেকশন করে নাহ থাকেন তবে আপনি চাইলে পরবর্তীতে যে কোন সময় তা করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রিফার্ড পেজ অডিয়েন্স সেকশনে যেতে হবে।

এর পরই পাবেন ফিচার্ড সেকশন, এখানে আপনি চাইলে আপনার পেজ এর লাইক করা কিছু পেজ এর লিস্ট দেখাতে পারেন ।

কভার ফটো নির্বাচনঃ

উপরোক্ত কাজগুলো শেষ করে আপনি যখন আপনার টাইমলাইনে ফেরত আসবেন তখন দেখবেন যে এর অধিকাংশ যায়গাই খালি থাকবে।

এবার আপনাকে যা করতে হবে তা হলো  কভার ফটো / ভিডিও নির্বাচন। ফেইসবুকের নিতিমালা অনুযায়ী আপনাকে এমন একটি কভার ফটো ব্যবহার করতে হবে যা প্রস্থে ৮৫১ পিক্সেল এবং দৈর্ঘ্যে ৩১৫ পিক্সেল।

facebook-page-cover-photo-dimensions-300x126

যদি আপনি মনে করে থাকেন যে আপনি আপনার পেজের জন্য সুন্দর, আকর্ষণীয় ও কাস্টমাইজ কভার ফটো বানাবেন কিন্তু আপনার

গ্রাফিক্স ডিজাইনে ভালো ধারণা না থাকার কারণে পিছিয়ে যাচ্ছেন তাহলে আপনি Fiverr99designsUpWork । সাইট থেকে টাকার বিনিময়ে

করে নিতে পারেন। তো বন্ধুরা আমার টিটোরিয়ালটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

Home

ধন্যবাদ।

 

 

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *