HTML বাংলা টিউটোরিয়াল পর্ব ০১
HTML বাংলা টিউটোরিয়াল পর্ব ০১ এ আমরা আলোচনা করবো HTML সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা, ইন্টারনেট,
ইন্টারেনেট- এর সূচনা, ই-মেইল, TCP/IP, ওয়েব ভাউজার, HTTP, Tag, Attribute, ইত্যাদি সম্পর্কে।
HTML
HTML অর্থ হচ্ছে Hyper Text Markup Language অর্থাৎ HTML হচ্ছে এক ধরনের মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। সাধারনত মাক্রোসফট ওর্য়াড বা ওর্য়াড প্যাড বা নোট প্যাড ইত্যাদি Text এডিটর দিয়ে ডকোমেন্ট লিখে ইমেজ ইত্যাদি সংযোজন
করা যায়। কিন্তু এদের কোন ডকুমেন্ট ওয়েবে পাঠানো বা পাবলিশ করার উপযোগী নয়। অর্থাৎ Text ডকুমেন্টকে রুপান্তর করে ওয়েব উপযোগী করার জন্য একটি মার্রআপ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রয়োজন। HTML হচ্ছে সেই ধরনের মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। এটি ভিজুয়াল বেসিক সি++ এর মত কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নয়। এটি এক ধরনের Script ল্যাঙ্গুয়েজ। সাধারনত এটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে অনেক সহজ। HTML এ সরাসরি ইমেজ, অডিও, ভিডিও, বা এনিমেশন সংযোজন না করে একটি লিংক তৈরী করা হয়। এছাড়াও যে কোন Text এডিটর, এমনকি ফটোশপ এর মত গ্রাফিক্স সফটওয়্যার থেকেও ডকোমেন্টকে সরাসরি HTML এ রুপান্তরের ব্যবস্থা রয়েছে। টেক্সট ডকুমেন্ট থেকে HTML ডকুমেন্ট আকারে অনেক ছোট, যার কারনে নেট এর ভিতর তথ্য দ্রুতও সহজে প্রেরন করা সম্ভব। এইচটিএমএল লেখা হয় ট্যাগ ব্যবহার করে, খুব অল্প সংখ্যক ট্যাগ স্মরন রেখেও যে কেউ এইচটিএমএল ব্যবহার করে ওয়েব পেজ তৈরী করতে পারে।
ইন্টারনেট
ইন্টারনেটের সুবিধাগত দিক বিবেচনা করলে বলা যেতে পারে, যে কান্ডটি করতে যাচ্ছে তা হলো কাগজবিহীন বিশ্ব গড়া এবং পৃথিবীকে একটি তারের মধ্যে একত্রিত করা। Email আর WWW অর্থাৎ World Wide Web এর কারণে যোগাযোগের কারনে কাগজের ব্যবহার দিনদিন কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ সর্ব ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবহার হচ্ছে।
আমার আজকের এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে সকল প্রকার পেশা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব ধরণের জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে, সহজে ও চাওয়ামাত্র বিশ্ব জ্ঞানভান্ডর থেকে জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে। আমার আজকের এই ইন্টারনেট ব্যবহার অন-লাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে ডিগ্রী নিতে পারছি ঘরে বসেই।
ইন্টারেনেট- এর সূচনা
১৯৬৯ সালে, আমেরিকা যুক্তরাস্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর (DOD), Advance Research Projects Agency Network (ARPAnet) চালু করে। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের জগতে এটিই প্রথম। তখন একটি কম্পিউটার ছিল California এবং অপর তিনটি ছিল Utah তে। গবেষণাগার ও বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহারে জন্য আমেরিকান মিলিটারী অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই ইন্টরনেট যাত্রা শুরু হয়। যেটা আজকের এই ইন্টরনেট।
ইন্টারনেট
ইন্টারনেট হচ্ছে একধরনের প্যাকেট সুইচিং প্রোগ্রাম। ছোট ছোট প্যাকেট তৈরির মাধ্যমে ডাটা আদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-নীতিও তৈরি হয়েছে এগুলোকে বলা হয়া কমিউনিকেশন প্রটোকল। উদাহরণঃ ০১. ইউইউসিপি ০২. টিসিপি/আইপি
০১। ইউইউসিপি (UUCP) : Unix to Unix Copy Program দিয়েই ইন্টারনেট প্রথম কাজ শুরু করে। এর মধ্যে ডাটা, ভয়েজ ও গ্রাফিক্স ইত্যাদি সকল ধরনের তথ্যই আদান প্রদান করা যায়।
০২। টিসিপি/আইপি (TCP/IP): Tramission Control Protocol/Internet Protocol পদ্ধতিতে তথ্য পাঠাতে হলে শুধুমাত্র প্রাপকের ঠিকানা দরকার হয়ে থাকে।
ই-মেইল
E-Mail এর অর্থ ইলেকট্রনিক মেইল। ই-মেইল ব্যবহৃত বিভিন্ন ওয়েব সাইটের নাম হলোঃ pobox.com, email.com, hotmail.com and roketmail.com ইত্যাদি। ই-মেইলের কাজ হচ্ছে এক কম্পিউটার হতে অন্য এক কম্পিউটারে তথ্য
বা উপাত্ত আদান প্রদান করা। ই-মেইল দুই ভাগে ভাগ করা হলে প্রথম ভাগে অর্থাৎ @ চিহেৃর আগের অংশে আপনার
User Nmae এবং পরের অংশে Domain name থাকে।
উদাহরণঃ [email protected]
TCP/IP
ইন্টারনেটের সাথে আপনার কম্পিউটার সংযোগ থাকার জন্য আপনার মেশিনে TCP/IP
ইনষ্টল করা থাকতে হবে। সাধারণত অপারেটিং সিস্টেমের সাথে TCP/IP সংযুক্ত থাকে। অর্থ হচ্ছে Transmission Control Protocol এবং IP অর্থ হচ্ছে Internet Protocol. ডাটা আদান প্র্রদান করার সময় TCP এর কাজ হলো, ডাটা ভেরিফিকেশন করা। ডাটা প্রেরণের সময় কোন তথ্য হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে TCP পুনরায় সেটিকে প্রেরণ করে। আর ডাটা প্যাকেটকে একটি নোট হতে অন্য একটি নোট এ পরিচালনার কাজটি করে IP.
ওয়েব ভাউজার:
ইন্টানেটে ওয়েব ভাউজার মানে হচ্ছে এক ওয়েব পেজ হতে আরেক পেজ ভ্রমন করা। ইন্টানেটের মাধ্যমে ওয়েব ভাউজিং করে সারাবিশ্বর যে কোন দেশের সার্ভারে রাখা ওয়েব পেজ গুলো দেখা তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
ওয়েব ভাউজারের উদাহরণঃ
Mozilla Firefox
Opera Web Browser
Safari Web Browser
Internet Explorer
Slimjet Browser
Maxthon
SlimBrowser
Netscape Browser
UC Browser
HTTP
HTTP-র অর্থ হলো Hyper Text Transfer Protocol এটি এমন একটি প্রোটোকল যার মাধ্যমে সার্ভার এবং
ক্লায়েন্ট কম্পিউটারের মধ্যে ডাটা আদান-প্রদান হয়ে থাকে। ওয়েব সার্ভারে বিভিন্ন ধরনের পেজ সংরক্ষিত থাকে ।
এখান থেকে সারা বিশ্বে অবস্থিত বিভিন্ন ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন ভাষাভাষী ও অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনীয় ওয়েব পেজের জন্য সার্ভারকে অনুরোধ পাঠাতে থাকে। সার্ভারটি চলে কিছু কিছু সফ্টওয়্যার প্যাকেজের মাধ্যমে,
যা ক্লায়েন্টের অনুরোধ বুঝতে পারে এবং সেই অনুরোধ অনুসারে সারা দিবে, এটি হচ্ছে HTTP.
URL-র অর্থ হলো Uniform Resourse Locator এটি দিয়ে কোন ফাইল বা ইনফরমেশনের সঠিক ঠিকানাটি অর্থাৎ নাম, লোকেশন ইত্যাদি সনাক্ত করা হয়।
যেমনঃ https://dhakaitclub.com/shared-hosting/
HTML Structure :
HTML ট্যাগ ব্যবহার করে লেখা হয়। প্রতিটি ট্যাগ শুরু হয় একটি <(Less then) চিহৃ এবং >(Grater than) চিহৃ দিয়ে।
এই দুইটি চিহৃ < > দিয়ে ট্যাগ শুরু হয় এবং এই দুইটি চিহৃসহ প্রথম চিহেৃর সাথে একটি ব্যাক স্লাস (/) চিহৃ দিয়ে ট্যাগ
শেষ করা হয়ে থাকে।
উদাহরণঃ </>
< HTML> ……………………. < /HTML>
সুতরাং HTML ফাইলের Structure হবে নিম্নরুপঃ
< HTML>
<HEAD>
……………………………..(Head Section)
</HEAD>
<BODY>
……………………………..(Body Section)
</BODY>
</ HTML>
Tag
আগেই আমরা আলোচনা করেছি HTML ফাইল তৈরী হয় ট্যাগ এর সমন্বয়ে। আবার কিছু কিছু ট্যাগের সাথে
Attributes থাকে। যেমন কোন লেখাকে বোল্ট করতে হলে এইচটিএমএল এ সংকেত হিসাবে B লিখতে হয়।
এবং B ছাড়া অন্য কোন অক্ষর লিখলে এইচটিএমএল সেটি বুঝতে পারবে না এবং লেখাকে বোল্ট করবে না।
নিময় অনুসারে লিখতে হবে।
যেমনঃ <B> Dhaka IT Club </B>
এই জাতীয় ট্যাগকে বলা হয় Container Tag আরও এক ধরনের ট্যাগ আছে, যাকে Empty Tag বলা হয়।
উদাহরণঃ
< HTML>
<HEAD>
……………………………..(Head Section)
</HEAD>
<BODY>
This is Dhaka IT Club <br>
I Like it very much
</BODY>
</ HTML>
নোটঃ ( এখানে <br> দ্বারা লাইন ব্রেক বা পরবর্তী লাইনে যাওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। এখানে ট্যাগটিকে শেষ
করা দরকার পরে নাই।
Attribute
Attribute দ্বারা এই ট্যাগকে আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে নির্ধারন করে দেওয়া হয়। যেমন <HR> ট্যাগ দ্বারা Horizontal
লাইন নির্দেশ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও নির্দিষ্ট Align এ অর্থাৎ বাম, ডান, সেন্টার ইত্যাদি নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়।
এক্ষেত্রে Attribute ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ
< HTML>
<HEAD>
<BODY>
<HR Align=”Left”>
</BODY>
</HEAD>
</ HTML>